Saturday, November 17, 2007

শিরোনামহীন উইথ চিকেন উইংস

উপকথাঃ রান্নাবান্না তেমন ফরম্যাট মেনে করি না, কিছু ট্রাডিশনাল রান্না ছাড়া যখন যা মনে আসে তাই করে ফেলি। এটা হচ্ছে রান্না হাতে-কলমে না শেখার উপকারীতা! এক্ষেত্রে একটা সমস্যা যেটা হয় তা হলো, রন্ধনকৃত বস্তুটির নাম থাকে না কোন। শিরোনামহীন সিরিজ হিসেবে চালিয়ে দেয়া যায় অবশ্য সেক্ষেত্রে। আজকে মুরগীর ডানা বা চিকেন উইংস রেঁধেছি। কেমন করে সেটাই লিখে রাখছি।

উপকরণঃ
চিকেন উইংস- ১ কেজি
আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা- ১ চা চামচ
জিরা বাটা-১ চা চামচ
কাঁচা মরিচ বাটা- ২ চা চামচ
পেঁয়াজ কুচি-১ কাপ (বড় পেঁয়াজ হলে দেড়টা)
লবণ-আন্দাজমত (দুই চা চামচ দিয়ে পরে চেখে স্বাদমত)
তেল- আন্দাজমত (আধা কাপ হতে পারে)।

প্রণালীঃ
ফ্রাইপ্যানে তেল কিছুটা গরম করে মুরগীর মাংসগুলো বিছিয়ে ভাজতে হবে। মোটামুটি বাদামী রঙ হলে নামিয়ে একটা বাটিতে তুলে রাখতে হবে। কড়াইতে থেকে যাওয়া তেলে পেঁয়াজ কুচি ছেড়ে বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভেজে এরপর একে একে আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা, কাঁচামরিচ বাটা,লবণ দিয়ে সাথে সামান্য পানি দিয়ে নেড়ে মশলা কষাতে হবে। ৫ মিনিট মশলা কষানোর পর আগে থেকে ভেজে রাখা মুরগীর মাংস ঢেলে দিয়ে মশলার সাথে নেড়ে ভালো করে মিশিয়ে ঢেকে দিতে হবে। মশলার সাথে মাংস ৫ মিনিট কষানোর পর ১ কাপ পানি দিয়ে নেড়ে ঢেকে সিদ্ধ করতে হবে। মাংস তেলের ওপর উঠলে চুলা থেকে নামিয়ে রাখতে হবে।

পরিশিষ্টঃ
মুরগীর উইংস ছাড়া অন্য অংশ দিয়েও একই রান্না করা যাবে বলে আমার ধারণা। আর শেষে পানির পরিমান যার পছন্দমত হবে। তবে এই রান্নাটায় বেশি ঝোল না রেখে মাখা মাখা করলেই বেশি মজা লাগবে। মশলার পরিমানগুলো অভিজ্ঞ রাঁধুনীরা নিজেদের পছন্দমত কম-বেশি করতে পারেন।

Saturday, November 3, 2007

ঘোড়া রোগের কথন

গরীবের ঘোড়া রোগ বলে একটা কথা আছে। বা বলা যায় ভীমরতিও। সে যাই হোক, আমার নতুন এই ঘোড়া রোগ আমার কাছে বেশ উপভোগ্য মনে হচ্ছে। বেশ একটা আবিষ্কারের মত। কখনও শিল্পের মত। কখনও অংকের মত।
একেবারে নতুন কিছু যখন করি তখন আবিষ্কারের আনন্দে খুব খুশি হয়ে যাই। বাধা কোন ফরম্যাটে চালিয়ে গেলে, সাথে কিছু নিজের মনের খুশি মিশিয়ে, শিল্প সৃষ্টির আনন্দ হয়। আর কঠিন কিছু করতে গেলে যদি ঠিকঠাক হয় তাহলে জটিল অংক কষার পরের তৃপ্তি! অবশ্য সবটুকুই সাফল্য নয় অবশ্যই। ব্যর্থতা এবং চরম ব্যর্থতাও আছে। তখনকার অনুভূতিটা নাহয় অপ্রকাশ্যই থাক। :-)

তো আমার এই ভালোলাগা, একই সাথে বিরক্তি লাগার নতুন এই কর্মের নাম - রন্ধন।

আর কি ভেবে এইসব ছাইপাশ লিখে রাখতে ইচ্ছা হলো, সেই প্রসংগেই বলা হলো গরীবের ঘোড়া রোগের কথা। তো রোগ যখন হয়েই গেছে, কি আর করা। শখ পূরণের জন্য এইখানে লিখে রেখে বরং একটু ঠান্ডা হই।

তবে সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এই ব্লগে যত পোস্ট করা হবে, সেসব এই এমেচার রাধুনীর রেসিপি। যদি কেউ পড়েন, এবং যদি কেউ ফলো করেন তাহলে ভালো রান্না ভালো হবার সম্ভাবনা বেশি থাকলেও খারাপও হয়ে যেতে পারে, বলা যায় না !